মরহুমা মায়ের ঈছালে সওয়াবের আশায়...

এতিম ও হাফেজ শিক্ষার্থীদের খাওয়ালেন সোহেল!

কক্সবাজার জার্নাল প্রতিবেদক •

মরহুমা মায়ের ঈছালে সওয়াবের আশায় এতিম শিশু শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন মাদরাসার কোরানে হাফেজদের পেটভরে দুপুরের খাবার খাওয়ালেন তরুণ ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক সোহেল চৌধুরী।

শনিবার দুপুরে বিশেষ মোনাজাত শেষে এতিম ও হাফেজদের নিয়ে এই খাবারের আয়োজন করা হয়। এসময় নিজ হাতে এতিম ও হাফেজ শিশুদের মাঝে উন্নতমানের দুপুরের খাবার পরিবেশন করেন সোহেল চৌধুরী। তৃপ্তি মতো পেট ভরে খেতে পেরে খুব খুশি হয় শিশুরা।

সোহেল চৌধুরী বলেন, আমার মরহুম মায়ের ঈছালে সওয়াবের আশায় এতিম অসহায় ও হাফেজ শিশুদের খাওয়াতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। জীবদ্দশায় আমার মা নিজ হাতে তাদের খাওয়াতে অনেক পছন্দ করতেন।

এসময় তিনি তাঁর মরহুম মায়ের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে সকলের নিকট দোয়া চেয়েছেন।

প্রসঙ্গত, জানা যায় রত্নাপালং ইউনিয়নের ভালুকিয়া মাতবরপাড়ায় বেড়ে উঠা সোহেল চৌধুরী তাঁর মায়ের মৃত্যুর পরে নিঃস্বার্থভাবে অবহেলিত, খেটে খাওয়া মানুষের খেদমতে তার অর্থ-শ্রম ব্যয় করে দিনযাপন করছেন। তিনি প্রতিনিয়ত মানুষের উপকারে ছুটে চলেছেন।

তিনি ইতোমধ্যে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে যাবতীয় টুল-টেবিল, ফ্যান-পাকা অনুদান দিয়েছেন। মসজিদের ছাদ ঢালাইয়ের কাজে সিমেন্ট, লোহার গ্রিল-দরজার, সাউন্ড- স্পিকারসহ আর্থিক সংকটে অনুদান, ভবন সংস্কার, গরিব-আসহায় ও দিনমজুর শ্রমিকের নানা সমস্যা ও নানা অসুখের চিকিৎসা, যুবকদের মাঝে খেলাধুলার সরঞ্জাম প্রদানসহ বিভিন্নভাবে আর্থিক সাহায্য সহযোগিতা করে যাচ্ছেন।

এদিকে, সম্প্রতি রত্নাপালং ইউনিয়ন তথা উখিয়ার আনাছে কানাছে অবহেলিত জনপদে সোহেল চৌধুরীর বিচরণ ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। এতে করে সম্প্রতি আলোচনা সৃষ্টি করেছেন তিনি। তার এ মহৎ কাজ ও সামাজিক উন্নয়নে নিঃস্বার্থ অবদানে সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকার ছোট-বড় সকলেই।

গ্রামবাসীরা বলেন, অনেকের অঢেল সম্পদ থাকার পরেও মানুষকে খাওয়ানো থেকে শুরু করে সহযোগিতা করার সাহস পায় না। আর সোহেল চৌধুরী একের পর এক সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। আমরা তার জন্য মন খুলে দোয়া করবো।